নতুন পাঠ্যবইতে রানী হামিদ

জাতীয়

নতুন পাঠ্যবইতে নারী আন্তর্জাতিকমাস্টার রানী হামিদের খেলোয়াড়ী জীবনের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বইয়ের ‘স্পোর্টস পার্সোনালিটি’ লেসনে দেশবরেণ্য এই দাবাড়ুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রানী হামিদ ছাড়াও নতুন পাঠ্যবইতে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির খেলোয়াড়ি জীবনের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

২০১৩ সালে সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে ‘গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস’ শিরোনামে বিশ্বের আট বিখ্যাত ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ছাড়াও ভারতের বিখ্যাত ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের নাম ছিল।

কিন্তু নতুন সংস্করণে এই তিনজনের নাম বাদ দিয়ে রানী হামিদ, জামাল ভূঁইয়া ও নিগার সুলতানা জ্যোতির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আগের ‘গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস’ অধ্যায়ে সালাউদ্দিন, টেন্ডুলকার, সাকিব ছাড়াও পেলে, ম্যারাডোনা, ব্রায়ান লারা, সেরেনা উইলিয়ামস, বাংলাদেশের পর্বতারোহী নিশাত মজুমদারের নাম ছিল। সাকিব ও সালাউদ্দিনের বিষয়ে পাঠ্যবইয়ে থাকা আলাদা অধ্যায়ও বাদ দেওয়া হয়েছে।

সালাউদ্দিন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ফুটবলার ও জাতীয় দলের কোচ এবং ফুটবল ফেডারেশনের টানা চারবারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। অন্যদিকে সাকিব শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় ক্রিকেটার।

নতুন সংস্করণে রানী হামিদের নাম নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। বরং তাঁর নাম আরও আগেই পাঠ্যবইয়ে স্থান পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু জামাল ও নিগারকে নিয়েই যত প্রশ্ন। অধিনায়ক হিসেবে তাঁরা তো দেশকে কোনো শিরোপা এনে দিতে পারেননি।

পরিচিত খেলোয়াড় হলেও পাঠ্যবইয়ে নাম যদি আসে তাহলে তো দেশে আরও বড় বড় খেলোয়াড় ছিলেন।